ডেস্ক রিপোর্ট :: সুনামগঞ্জের ছাতকে প্রবাসীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের মৃত উস্তার আলীর ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী মাসুক মিয়া ও শামছুন নূর কালামিয়ার বাড়িতে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটে। অস্ত্রধারী ডাকাত দল হানা দিয়ে ২১ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইলসেটসহ প্রায় ২২ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়। এসময় ডাকাতদের হামলায় নারীসহ পরিবারের ৫ সদস্য আহত হয়। আহতদের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।


স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাত ৩টার দিকে রাতে জালালপুর গ্রামের প্রবাসীর বাড়ির গেট ও দরজা ভেঙ্গে ১০/১২ জনের অস্ত্রধারী ডাকাত সদস্যরা ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তান্ডব চালায়। এসময় একই ভবনে থাকা হাসনাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসাইন মো.মহসিন ও ইতালী প্রবাসী সেলিম আহমদের রুমে হানা দিয়ে ৩টি ঘর থেকে প্রায় ২১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, ২টি মোবইল ফোন, আড়াই লাখ টাকা সমমুল্যের পাউন্ড ও ডলার, নগদ ৯৩ হাজার টাকাসহ ২২ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়। ডাকাত দলের তান্ডবে বাড়ির লোকজনের চিৎকারে গ্রামের লোকজন মসজিদের মাইকে ডাকাতের খবর প্রচার করলে গ্রামবাসী এগিয়ে এসে ধাওয়া করে ৪ ডাকাতকে আটক করে।


আটক ডাকাতদের গণধোলাই দেয়া হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ৩ রাউন্ড গুলিসহ একটি দেশীয় পাইপগান ও একটি চায়নিজ কুড়াল। পরে আটককৃত ডাকাতদের থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।


জনতার হাতে আটককৃত ডাকাতরা হলেন ওসমানীনগর থানার তাজপুর ইউনিয়নের রবিদাস (পালপাড়া) গ্রামের আলিম উল্লার ছেলে সাইফুল ইসলাম সফিক (২৩) ও একই থানার গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের কালাসরা (দত্তগাম) গ্রামের মৃত সফর উল্লার ছেলে আনফর আলী আনহার (২৪), জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের চকতিলক গ্রামের বেলায়াত আলীর ছেলে লাল মিয়া জুয়েল (২৯) ও একই ইউনিয়নের জামালপুর (রৌড়) গ্রামের মৃত শহিদ উল্লার ছেলে সাইফুল মিয়া (২৫)।


স্থানীয় জনতার ধাওয়ায় অন্য ডাকাতরা আগ্নেয়াস্ত্র উচিয়ে ফায়ার করে মালামালসহ দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে। খবর পেয়ে রাতেই ছাতক থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।


ডাকাতদের বাধা দিলে তাদের হামলায় আজাদ মিয়া, সামছুল আলম শাহিন, মাজেদা বেগম ও শিক্ষিকা সুলতানা আক্তার বিউটিসহ আহত ৫জনকে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।


ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, ডাকাতির ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন