বিশেষ প্রতিনিধি::

পৌষের বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে জগন্নাথপুরের কৃষকদের মধ্যে। বোরো আবাদের উপযুক্ত সময় এখন। কিন্তু হাওর থেকে দ্রুত পানি নেমে যাওয়ায় চাষাবাদের জন্য সেচের পানি সংকট চলছিল।
সোমবার সকালে ভারি বৃষ্টি হওয়াতে কৃষকের মধ্যে স্বস্তি দেখা দেয়। তবে হাওরে এখনো বাঁধের কাজ শুরু না হওয়াতে শঙ্কায় আছেন কৃষকরা।

হাওরপারের কৃষকরা জানান, এবার হাওর থেকে দ্রুত পানি নেমে যাওযায় বোরো হালচাষে পানি সংকট দেখা দেয়। আবাদের শুরুতেই শঙ্কিত হয়ে পড়েন কৃষকরা। গতকাল ভারি বৃষ্টি হওয়াতে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। কারণ এখন পুরোদমে হাওরে চাষাবাদ শুরু হওয়ার উপযুক্ত সময়। এরমধ্যেই হাওরের নিচু এলাকায় বোরো চারা রোপন চলছি।

নলুয়া হাওরের কৃষক সুলতান মিয়া জানান, চলতি বোরো মৌসুমের শুরুতেই হাওর পানি সংকট চলছিল। হঠাৎ করেই পৌষের শুরুতেই বৃষ্টি হওয়াতে এখন কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি। তিনি জানান, অনেকেই ক্ষেতে সেচের জন্য পানি সংগ্রহে দুঃশ্চিতায় ছিলেন। বৃষ্টি দেখা পেয়ে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। তবে হাওরে এখনো বেড়িবাঁধের কাজ শুরু না হওয়াতে দুশ্চিতায় আছি।

হাওর বাঁচাও আন্দোলন কমিটির জগন্নাথপুর উপজেলা শাখার আহবায়ক সিরাজুল ইসলাম জানান, পাউবোর নীতিমালা অনুয়ায়ি ১৫ ডিসেম্বর থেকে হাওরের ফসলরক্ষা বেড়িবাঁধের কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

হাওরে একটি বাঁধের কাজ উদ্বোধন করার ১১ দিন অতিবাহিত হলেও হাওরের কোথাও কোন প্রকল্পে কাজ শুরু হয়নি। ফলে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হওয়া নিয়ে শঙ্কা আছে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন