সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌরশহরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৮টি দোকানঘর ভস্মীভূত হয়েছে। এতে প্রায় ৫ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ মালিকরা দাবী করেছেন।
আজ বুধবার এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় একজন আহত হয়েছে। তাকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ব্যবসায়ীরা জানান, সকাল ১১টার দিকে শহরের জগন্নাথপুর বাজারের ডাকবাংলো সেতু সংলগ্ন একটি তুলার দোকানে প্রথম আগুনের ঘটনা ঘটে। এখান থেকে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশের কয়েকটি দোকানে।
স্থানীয়রা আগুনের লেলিহান শিখা দেখে শত শত মানুষ ঘটনাস্থলে এসে জড়নো হন। অনেকেই পাশের নদী থেকে বালতি দিয়ে পানি তুলে আগুন নেভানোর চেষ্ঠা চালান।
খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ, জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ ফায়াস সার্ভিস ষ্টেশনের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাবাসীর সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রনের প্রচেষ্ঠা চালান। তবে ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দুরত্ব ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে ফায়াস সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে আসতে অনেক সময় বিলম্ব করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁরা ঘটনার আধাঘন্টা পর ঘটনাস্থলে এসেছেন।
এছাড়াও তাদের পানির পাইপে সমস্যা থাকায় আগুন নেভানোর কাজে কিছুটা বিঘ্নিত ঘটেছে।
প্রায় ৩ ঘন্টাব্যাপি প্রাণপণ চেষ্ঠার পর আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে। ততক্ষনে তুলার দোকানের দুইটি কক্ষ, মান্নান স্টোর (তীর সুয়াবিন তেল ও মার্কাস দুধের ডিট্রিবিউটর), চারটি কক্ষ, সমী এন্টারপাইজ (বিদ্যুতের ইলেট্রনিক দোকান) একটি কক্ষ ও রিয়া ট্রেডার্স( কেমিক্যাল’স ও সার, বীজ ঘর) এর দোকানসহ ৮টি দোকানপাট পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে আগুনের সুত্রপাতের সঠিক কারণ জানা যায়নি। অনেকে মনে করছেন, সিগারেটের আগুন কিংবা বৈদ্যুতিক সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সুত্রপাত হতে পারে।
এদিকে আগুনে নিভাতে গিয়ে হবিবনগর এলাকার জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া (৩৫) নামের এক যুবক আহত হয়েছে। তাকে প্রথমে জগন্নাথপুর উপজেলা কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
মান্না ট্রেডার্সের পরিচালক প্রদীপ দেব জানান, মুর্হুতের মধ্যে আগুনে আমার সব পুড়ে গেছে। আগুনে প্রায় তিন কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়েছে।
সমী এন্টারপ্রাইজের পরিচালক রাজু ভট্রাচার্য্য জানান, আগুনে তাঁ^র দোকানের এক কোটি টাকার মালমাল পুড়ে গেছে।
জগন্নাথপুর ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের ইনচার্জ আল মাসুদ জানান, খবর পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে আমরা কাজ করেছি। তবে আগুনের সুত্রপাত কীভাবে ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন