মানুষের বই পড়ার আগ্রহ থেকেই পাঠাগারের সৃষ্টি। শতাব্দী থেকে শতাব্দী বছর ধরে মানুষের জ্ঞান জমা হয়ে থাকে পাঠাগারের বইয়ের পাতায়। অসীম জ্ঞানের ভান্ডার হলো বই। আর সেই বইয়ের আবাসস্থল হলো পাঠাগার। আমাদের দেশে পাঠাগারের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

 

মানুষ সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে উপলব্ধি করতে পারছে শুধু বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য নয়, মনের জন্যও খাদ্য প্রয়োজন। পাঠাগার মানুষের ক্লান্ত ও বুভুক্ষু মনকে প্রফুলস্ন করতে পারে। পছন্দমতো জিনিসের সন্ধান দিয়ে তার মনের খোরাক জোগাতে সাহায্য করে।

 

জগন্নাথপুর উপজেলার বৃহত্তর চিলাউড়া গ্রাম এই গ্রামে শত শত শিক্ষার্থী পড়াশোনা করতেছে কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় হল প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী পাঠ্যপুস্তক এর বাইরে কোনো কিছুই জানেনা ।

 

জানার কথা না কারন পাঠ্যপুস্তক এর বাইরে জানতে হলে বই পড়তে হবে আর বই পড়তে হলে পড়ার মত সুব্যবস্থা প্রয়োজন তা এখনও তৈরি হয়নি।

 

জ্ঞান অনুশীলনের জন্য পাঠাগারের বিকল্প নেই।

বৃহত্তর চিলাউড়া গ্রামে একটি মানসম্মত পাঠাগার হলে হয়ত সাধারণ পাঠক ও শিক্ষার্থীরা উপকৃত হতো বলে মনে করেন গ্রামের গুণীজন।

 

গ্রামের অনেক মানুষ ই রয়েছে দুনিয়া সম্পর্কে জানতে চায় বাস্তব সম্পর্কে জানতে চাই বই পড়ে পৃথিবীর বিবিন্ন ইতিহাস জানতে চায় কিন্তু বই পড়ার মতন গ্রামে এরকম সুব্যবস্থা নেই ।

 

গ্রামে সর্বসাধারণ মানুষের দাবি যদি চিলাউড়া গ্রামে একটি পাঠাগার থাকতো তাহলে প্রতিদিন তারা পাঠাগার এ বসে বই পড়ে ইতিহাস জানতে পারত অবসর সময়ে বই পড়ার মধ্যে দিয়ে কাটাতে পারত।

 

গ্রামে সর্বসাধারণ মানুষের দাবি যদি চিলাউড়া গ্রামের সকল প্রবাসী সহোযোগিতা করেন তাহলে একটি সুন্দর পাঠাগার স্থাপন করা সম্বব।

 

গ্রামবাসীরা মনে করেন ইতিপূর্বে প্রবাসীদের উদ্যোগে চিলাউড়া গ্রামে প্রথমবারের মতো শহীদ মিনার নির্মীত হচ্ছে খুব শিগ্রই সম্পূর্ণ হবে।

 

চিলাউড়া গ্রামের যুবসমাজ ও স্কুল, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবী একটি

মানসম্মত পাঠাগার।

রিপোর্টার: হোসাইন আহমেদ নোমান

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন